শিরোনাম
তাহিরপুরের শান্তিপুরে নদী তীর কেটে খনিজ বালু লুটে বিক্রির ঘটনায় আটক-১ বন্দরে ছিনতাইকৃত গরুসহ ট্রাক উদ্ধার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর স্ত্রীর মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল শহীদ জিয়ার আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক নাছিম মোড়ল শ্রীপুরে দলিল লেখকগনদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জে মাদক বিরোধী অভিযান যুবকের ৪ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড   সাভারে ORPA-এর আলোচনা সভা ও কমিটি গঠন কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে ১ জন আটক কালিয়াকৈরে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট  বিতরণ সংসদ নির্বাচনে দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত  ভালুকায় শিশুর লাশ উদ্ধার কালিয়াকৈরে চাঁদার টাকা না পেয়ে ঠিকাদারকে মারধর শ্রীপুরে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক  জোরপূর্বক জমি দখল, প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

কৃষিবিদের সংগ্রামী আহ্বান

রিপোটারের নাম / ৩১৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৮

২০০৯ সাল থেকে আমি কৃষিবিদ পরিবারে একজন সদস্য। এ সময়ের মধ্যে প্রতি দুই বছর পর পর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এবারের ২৩ নভেম্বর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। দুটি প্যানেল হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের গুরুত্ব ছিল অন্যরকম। দুই পক্ষ নানাভাবে ভোট চেয়েছিল। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

বিএনপিপন্থি কৃষিবিদদের সংগঠন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ কর্তৃক মনোনীত প্যানেলই বিজয়ী হয়ে আসছে। এবার এ পরিষদের দুটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়। এতে কৃষিবিদ ড. আ. রাজ্জাক-কৃষিবিদ আ. মান্নান প্যানেল এবং কৃষিবিদ মির্জা জলিল ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সমর্থন প্যানেল ঘোষণা করা হয়। কৃষিবিদ ড. আ. রাজ্জাক-কৃষিবিদ আ. মান্নান প্যানেলকে কেআইবি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। তাদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া গণতন্ত্রায়ন ও কেআইবির সব শাখায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে তাদের অংশগ্রহণ আরও ফলপ্রসূ ও নান্দনিক হয়ে উঠত যদি হার-জিত বা ফলাফলকে মেনে নিয়ে নির্বাচনে আমরা ভোট দিতে পারতাম।

একজন সাধারণ ভোটার হয়ে মনে করছি নির্বাচন স্থগিত করার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া উচিত হয়নি। এতে হাজার হাজার কৃষিবিদের আবেগকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। আপনারা জাতির নেতা, আমাদের কৃষিবিদদের অহঙ্কার। এভাবে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া মোটেই ঠিক করেননি।

একসময় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ছিল ছোট্ট দুইতলা। আর সে দুইতলা থেকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন পেয়েছি আমরা, যা সব কৃষিবিদের আজ অহঙ্কারের জায়গা। এর পেছনে যেমন কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপির অবদান রয়েছে। তেমনি কৃষি সেক্টরে আপনাদেরও কম অবদান নয়। কৃষিবিদদের ক্লাস ওয়ান দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের অবদান উল্লেখ করার মতো।

আমরা সব কৃষিবিদ অপেক্ষায় ছিলাম বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ প্রতি নির্বাচনের মতো এবারও একটা গ্রহণযোগ্য প্যানেল দেবে, যা সারাদেশে কৃষিবিদদের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করবে। তা না করে আপনারা দুভাগ হয়ে প্যানেল ঘোষণা করলেন। আমি মনে করি, এটা ছিল ইতিবাচক। কারণ এর ফলে ভোটাররা যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে পারত। আমি দেখেছি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনেক কৃষিবিদকে ঠিকমতো মূল্যায়ন করা হয় না।

সারা বাংলার কৃষি সমাজ এক বাক্যে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের অবদানের কথা স্বীকার করবে। নাছিম ভাইয়ের কারণে একটা প্যানেল যদি পাস করে আসত তাতে ক্ষতি কী ছিল? এ প্যানেলে সবাই যে পাস করত তারই বা গ্যারান্টি কী ছিল?

যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অবশ্যই তারা রাষ্ট্রে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন বা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। রাজপথে আমরা এ সক্ষমতা আগামীতে কৃষিবিদদের পেশাজীবী ও জনগণের প্রয়োজনে দেখতে চাই। তবে এটা ঠিক, দিনশেষে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের জয় হয়েছে।

অন্যদিকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যারা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলো, তাদের এই ঘোষণা বা সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানাই। বয়কটের সংস্কৃতি পশ্চাৎপদতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতাকে উৎসাহ দেয়। অংশগ্রহণই হলো স্বচ্ছতা, প্রতিকার, প্রতিরোধের গণতান্ত্রিক প্রথা ও পন্থা।

সুন্দর আগামীর জন্য সব কৃষিবিদের একসঙ্গে কাজ করার সংগ্রামী আহ্বানÑ সবার প্রতি শুভ কামনায় শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ