আশরাফুল ইসলামঃ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চালু হওয়ার বেশ সময় অতিবাহিত হলেও নিষিদ্ধ যানবাহন ও মোড়ে মোড়ে সড়কের উপর হাট বাজার বসার ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু। মহাসড়কের শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন, ট্রাফিক বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ ব্যর্থ হচ্ছেন। সওজ-এর উদ্যোগে সড়কের বিভিন্ন মোড়ে নির্দেশনা দেয়া আছে সড়কের ১০ মিটারের মধ্যে কোন স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ, আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অথচ এসব স্থানে গড়ে উঠেছে কাঁচা বাজার, ফলের বাজার, হকার মার্কেট সহ নানা রকম হাট বাজার।
ছবিঃ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রীপুরের জৈনা বাজার।
এসব দোকানিরা জানান, তাদের নাকি অগ্রিম মোটা অংকের টাকা দিয়ে মহাসড়কের জমিতে মাসিক ভাড়া দিয়ে দোকানদারি করতে হয়। তবে তারা কারো নাম বলতে রাজি নন। এসব দোকান মালিকরা একটি অদৃশ্য অপশক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। সড়ক বিভাগ যখন এসব স্থাপনা, হাট-বাজার ভেঙ্গে দেয় তখন তারা সামনে আসেন না।
অপরদিকে তিন চাকার রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি, ভাইরাস, লেগুনা ইত্যাদি মহাসড়কে উঠা নিষিদ্ধ থাকলেও দাপটের সাথে পাহারারত পুলিশের সামনে দিয়ে এসব যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। মহাসড়কের শ্রীপুরেে মা ওনার কিছু অংশে অনিয়মের শেষ নেই। সড়কের কোন কোন অংশে ইউটার্ন দুরে হওয়ায় ছোট বড় সব ধরনের যানবাহন আইন অমান্য করে উল্টোপথে চলে, ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাওনা, এমসি,নয়নপুর, জৈনা বাসস্ট্যান্ড মোড়গুলিতে সারি সারি ব্যাটারি চালিত রিকশা, সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকে, অনেক সময় দ্রুতগতি সম্পন্ন গাড়ির সামনে চলে আসায় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে। এছাড়াও জৈনা বাজারে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছে অর্ধশত বনশ্রী প্রভাতী বাস।
ছবি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা উড়াল সেতুর নিচে।
ছবিঃ মাওনা উড়াল সেতুর নিচ থেকে।