শিরোনাম
তাহিরপুরের শান্তিপুরে নদী তীর কেটে খনিজ বালু লুটে বিক্রির ঘটনায় আটক-১ বন্দরে ছিনতাইকৃত গরুসহ ট্রাক উদ্ধার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর স্ত্রীর মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল শ্রীপুরে ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই নেতার শোডাউন কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ৪ মামলায় দুই লক্ষাধীক টাকা জরিমানা রাষ্ট্র সংস্কার করে নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী কাপাসিয়ায় তরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে  শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত বিতরণ  কালীগঞ্জে চোরাই পিকআপ সহ তিনজন গ্রেফতার কাপাসিয়ায় রফিকুল ইসলাম খান বাবু মাস্টার স্মরণসভা  শ্রীপুরে অপরাধ রোধে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত ভালুকায় বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দু পক্ষের থানায় অভিযোগ নরসিংদীতে তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ ১৫ কর্মকর্তা ৭ ঘন্টা অবরুদ্ধের পর মুক্ত কাপাসিয়া রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

শ্রীপুরের বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন ফল কাঁঠাল

রিপোটারের নাম / ৭৩৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০২১

আশরাফুল ইসলাম শ্রীপুর প্রতিনিধিঃ কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। এটি একটি গ্রীষ্মকালীন ফল।এর বিরাটাকার আকৃতি, রসালো কোষ ও চমৎকার স্বাদ-গন্ধের জন্য ফলটি খুবই জনপ্রিয়।বাংলাদেশের সব জায়গায় কাঁঠাল জন্মালেও ঢাকার উঁচু অঞ্চল, সাভার, গাজীপুর, ভাওয়াল ও মধুপুরের গড়, বৃহত্তর সিলেট জেলার পাহাড়ি এলাকা, রাঙামাটি ও খাগড়াছরি এলাকায় সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হচ্ছে গাজীপুরের কাঁঠাল। কাঁঠাল খুব উপকারী ফল এত বেশি পুষ্টি উপাদান আর কোন ফলে পাওয়া যায় না কাঁচা কাঁঠাল তরকারি ও পাকা কাঁঠালে ফল হিসেবে খাওয়া যায়।

গাজীপুর জেলার সবচেয়ে বড় কাঁঠালের আড়ৎ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে শ্রীপুরের জৈনা বাজার। প্রতিবছর কাঁঠালের মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে ভিড় জমায়। সারাদিন কাঠাল কিনে রাতে ট্রাকে করে নিয়ে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে কাঁঠাল বেচাকেনা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কাঁঠালের পাইকারি বাজারে এসে কাঠাল কিনে রাজধানীর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা শহর গুলোতে নিয়ে বিক্রি করে। এ অঞ্চলের কাঁঠাল খুবই সুস্বাদু হওয়ায় দেশের প্রায় সব জায়গায় চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। এখন ক্রেতা-বিক্রেতার হাক ডাকে মূখরিত এলাকার শ্রীপুর, মাষ্টার বাড়ি, রাজাবাড়ি, গোসিংগা, প্রহলাদপুর, রাজেন্দ্রপুর, বরমী, কাওরাইদ, কেওয়া, মাওনা, জৈনা বাজার।এখম এসব বিভিন্ন বাজারে কাঁঠাল আসতে শুরু করেছে। সরেজমিনে শ্রীপুর উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশেই জৈন বাজারে কাঁঠালের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন কৃষকরা। বাজারে চারদিকে রসালো কাঁঠালের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধ। আর ছড়িয়ে আছে কাঁঠাল ভর্তির ভেন ঠেলা গাড়ি, রয়েছে ছোট-বড় পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান। কোথাও স্তুপ করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন আকৃতির কাঁঠাল। এই কাঁঠাল কে কেন্দ্র করে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান, এবারে কাঁঠালের ফলন একটু কম হলেও ভালো দাম থাকায় খুশি কাঁঠাল চাষিরা।

বাজারের আড়ৎদার তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ইসলাম উদ্দিন পাইকার বলেন, আমি অনেকদিন যাবত কাঁঠালের ব্যবসা করি। এবারে অন্যান্য বছরের তুলনায় কাঁঠাল একটু কম চাহিদা রয়েছে প্রচুর ।তাই এবার দাম একটু বেশি।তাছাড়া অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে কাঁঠালের খাজনা একটু কম। লকডাউন শিথিল করায় দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার আসতে শুরু করেছে। তাই বিক্রেতারা পাচ্ছে ন্যায্য মূল্য। যত বেশি পাইকার আসবে দাম তত ভালো পাওয়া যাবে।

শরীয়তপুর থেকে আসা স্থানীয় পোশাক শ্রমিক ইব্রাহিম বলেন,বোনের বাড়ি বেড়াতে যাব এজন্যই ৪০০ টাকা দিয়ে বড় একটি কাঁঠাল কিনেছি।এতো বড় কাঠাল আমি কোনদিন কিনিনি।বোনের বাড়ি যাবো তাই বড় কাঠাল কিনলাম।তাছাড়া শুনেছি শ্রীপুরে কাঁঠাল খুব মিষ্টি, সুস্বাদু তাই গৃষ্ম কালীন ফল কাঁঠাল নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছি।
জৈনা বাজারের ইজারাদার শাহাব উদ্দিন জানান,মাত্র ৩ দিন হলো বাজার শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁঠাল আসতে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাস মহামারীতে সরকারি বিধি নিষেধ শিথিল করায় ও বাজারের খাজনা কম থাকায় দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা আসতে শুরু করেছে।এবার কাঁঠাল প্রতি খাজনা নেয়া হচ্ছে ২ টাকা যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। বাজারের পাইকার থাকায় চাষিরা পাচ্ছে কাঁঠালের ন্যায্য মূল্য।
সিলেট থেকে আসা পাইকার খসরু মিয়া জানান অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের ফলন একটু কম কিন্তু চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। তাই চাষীরাও পাচ্ছে ন্যায্য মূল্য। তবে পরিবহন ভাড়া টা একটু বেশি। পরিবহন ভাড়া টা আরেকটু কম হলে আরো দাম দিয়ে কাঠাঁল কিনা যেত।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এস এম মূয়ীদুল হাসান বলেন, কাঁঠালে রয়েছে চমৎকার স্বাদ ও সুগন্ধের পাশাপাশি মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানাবিধ পুষ্টিগুণ। কাঁঠালে বিদ্যমান নানা ভিটামিন ও মিনারেলস বা খনিজ পদার্থ স্বাস্থ্যের নানারকম উপকার সাধন করে।কাঁঠাল চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাড়তি আয় করাও সম্ভব। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত উৎপাদন বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব। তাই আমরা কৃষকদেরকে কাঁঠাল চাষে আগ্রহ বাড়াতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ