কালিয়াকৈর( গাজীপুর) থেকে মোঃমাইনুল সিকদারঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় মৌসুমকে সামনে রেখে বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে স্হানীয় কৃষক। পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে রোপন করা হচ্ছে আগাম ধানের চারা। চানপাততা বিল,আইনদা বিল,মকস বিল,উজান বিল, বগা বিলের ধানি জমিগুলোএরই মধ্যে শুরু হয়েছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বীজতলা প্রস্তুুত ও জমি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাসহ চাষাবাদে হাজার হাজার কৃষক ও কৃষি শ্রমিক মাঠে কাজ করছেন।
কালিয়াকৈর উপজেলা – ১০ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করা হয়। সাধারণত এই অঞ্চলে হাইব্রিড ২৯ ও ২৮ নতুন ৮৯ জাতের ধানের বীজ তলা বেশি জমি পস্তুুত করা হচ্ছে। অপর দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিলের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য কৃষি শ্রমিককে ধানি জমিতে থাকা কচুরিপানা ও জঙ্গল পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। লক্ষ করা যায় সৈয়দপুর গাবতলী, রাজাবাড়ী, দিঘীবাড়ি,উজান বিল, বাঁশতলী, নামাশুলাই, খালপাড়, মেদি, গর্জন খালি, এক ফসলী জমিতে হাঁটু পানি ও কোমর পানি রয়েছে। কোন কোন জমিতে এরই মধ্যে হাল চাষ করা শুরু হয়ে গেছে। এইসব জমিতে স্থানীয়রা বীজতলা প্রস্তুত ও আগাম সরিষার বীজ কিছু জমিতে বপন শুরু করছে।
আষারিয়া বাড়ী কৃষক মো বাচ্চু মিয়া জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে কিছুটা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে।তবে তারপরও বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে বীজতলা প্রস্তুুত করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান পৌষ মাসের প্রথম দিকে জমিতে ধানের চারা রোপনের কাজ পুরোদমে শুরু হবে।খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় হাটবাজারে ২৯/২৮ ও নতুন ৮৯ জাতের ধানবীজের ১০ কেজির প্যাকেট ৫৫০-৫৬০- ৫৮০, টাকা ও প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে , ২ কেজি প্যাকেট ২০০ টাকা কেজি । তবে এসব বীজ ধানের মানের দিকে দাম কমবেশি হতে পারে।
কালিয়াকৈরে উপজেলা কৃষি অফিসার, সাইফুল ইসলাম জানান, বোরো ধানের জমি চাষাবাদ হবে উপজেলার ১০ হাজার ১৬৫ হেক্টর। কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছে জমি প্রস্তুুত করতে ও ভাল মানের ধানের বীজ সংগ্রহে।