হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গত দু’দিনের কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বোরধান ক্ষেত হেলে পড়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি চরাঞ্চলে নানাবিধ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। শেষ মহুত্বে এসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের এই ক্ষতি কৃষকদের চরম হতাশাগ্রস্থ করে তুলেছে। বিশেষ করে নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা এবং নিচু এলাকার আধা পাঁকা ধানক্ষেত সমুহ হেলে পড়েছে। অনেক ধানক্ষেত হাটু পানি জমে রয়েছে।
মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার উপর দিয়ে হালকা-মাঝারি কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হয়ে যায়। এতে করে নিচু এলাকার আধাপাঁকা বোর ধানক্ষেত হেলে পড়ায় ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধানের চাষাবাদ হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৬ হেক্টর জমির ফসল কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী এর পরিমান অনেক বেশি।
দহবন্দ গ্রামের কৃষক মতিন মিয়া জানান, তিনি ৫বিঘা জমিতে বোরধান চাষাবাদ করেছে। এরমধ্যে ৪বিঘা জমি নিচু এলাকায়। ইতিমধ্যে তার জমির ধান আধাপাঁকা হয়েছে। কিন্তু কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় তার ২বিঘা জমির ধান হেলে পড়েছে। পাশাপাশি ধানক্ষেতে হাটুপানি জমে রয়েছে। এ অবস্থায় তার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হবে। তিনি আরও বলেন শেষ মৌসুমে এসে এহেন ক্ষতি তার জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে দাড়িছে।
হরিপুর চর এলাকার আকবর আলী জানান, কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ার কারণে চরাঞ্চলের পেঁয়াজ, মরিচ, গম, ভুট্টা, তরমুজসহ নানাবিধ মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। তিনি বলেন তার ১ বিঘা জমির পেঁয়াজক্ষেত বিনষ্ট হয়ে পড়েছে। এতে করে তার ৫ হাজার টাকা লোকসান হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল করিব জানান, হালকা কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। উপজেলায় প্রায় ৬ হেক্টার জমির বোরধান ক্ষেত হেলে পড়েছে এবং নিচু এলাকায় সামান্য পানি জমে গেছে। এতে করে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের আসলে কিছু করার নাই।